এক্সিম ব্যাংককে কি সবল করা যেত না? মার্জ করা কি জরুরি ছিলো?
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ব্যাংক মার্জ বা একীভূতকরণ। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক (Exim Bank)–এর বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—Exim Bank কে কি আলাদাভাবে সবল করা যেত না? নাকি মার্জ করাটাই ছিলো সময়ের দাবি?
Exim Bank এর বর্তমান অবস্থা
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড বা সংক্ষেপে Exim Bank বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ব্যাংকিং সেক্টরে নানা চ্যালেঞ্জ, অনিয়ম, খেলাপি ঋণ এবং তারল্য সংকট অনেক ব্যাংকের মতো এক্সিম ব্যাংকের সামগ্রিক অবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্যাংক মার্জ করার কারণ
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের যুক্তি হলো—
- দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ব্যাংকের সাথে একীভূত করলে খাতের স্থিতিশীলতা বাড়বে।
- গ্রাহকদের আমানত সুরক্ষিত থাকবে।
- খেলাপি ঋণের চাপ কমবে।
- বাজারে আস্থা ফিরবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়, Exim Bank এর মতো একটি ব্যাংককে কেন মার্জের পথে যেতে হলো?
এক্সিম ব্যাংককে কি সবল করা যেত না?
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, সঠিক নীতি প্রয়োগ, দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং কঠোর নিয়মতান্ত্রিক সংস্কার আনলেই Exim Bank আবার সবল হতে পারত।
- পেশাদার ম্যানেজমেন্ট টিম নিয়োগ
- খেলাপি ঋণ আদায়ে স্বচ্ছ ও কঠোর ব্যবস্থা
- আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা বিস্তার
- করপোরেট গভর্ন্যান্স জোরদার
এসব পদক্ষেপ নিলে হয়তো ব্যাংককে মার্জ ছাড়াই দাঁড় করানো যেত।
মার্জ করা কি জরুরি ছিলো?
অন্যদিকে বাস্তবতা হলো, দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। সরকার চাইছে দ্রুত সমাধান। তাই মার্জকে তারা “দ্রুত কার্যকরী সমাধান” হিসেবে বেছে নিয়েছে। তবে এতে শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক ও কর্মীদের উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।
Exim Bank মার্জ না হয়ে আলাদাভাবে সংস্কার করা যেত কি না—এ নিয়ে বিতর্ক থাকবেই। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে টেকসই করতে হলে শুধু মার্জ নয়, বরং স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, এবং কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন সবচেয়ে বেশি জরুরি।
👉 আপনি কি মনে করেন, Exim Bank মার্জ না হয়ে আলাদাভাবে শক্তিশালী হতে পারত? মন্তব্যে আপনার মতামত জানান।
Exim Bank
এক্সিম ব্যাংক
Exim Bank merger
ব্যাংক মার্জ
ব্যাংক সবলকরণ
বাংলাদেশের ব্যাংক খাত
খেলাপি ঋণ সমস্যা
ব্যাংকিং সংস্কার

0 Comments