Ticker

6/recent/ticker-posts

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় দশটি ব্যাংক।

 

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাংক এবং তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা। রিপোর্টটি সম্পূর্ন ৫ আগস্টের পরের প্রেক্ষাপটে তৈরি। এখানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেসকল ব্যাংককে যেসকল ব্যাংক থেকে গ্রাহককে ফিরে যেতে হয় নাই। 


বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর সম্প্রতি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে যারা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং যথেষ্ট তারল্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এবং স্থিতিশীল ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), পূবালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আইএফআইসি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এবং শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক অন্যতম।

আরও পড়ুন:

আস্থার সংকটে দেশের ১১টি ব্যাংক। 

১. ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এই ব্যাংকটি তাদের গ্রাহকদের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত সেবা প্রদান করে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ কিছু আকর্ষণীয় সেবা নিয়ে এসেছে। তবে শাখা উপশাখার পরিধি কম হওয়ায় গ্রামীণ গ্রহনযোগ্যতা এখনো কম। 

২. সিটি ব্যাংক

সিটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সেবার অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে কাজ করছে। এটি সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের জন্য আধুনিক ও উচ্চমানের সেবা প্রদান করে। টেকসই ব্যাংকের মধ্যে অন্যতম সিটি ব্যাংক। 

৩. ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)

ইবিএল একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। তাদের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থা এবং দ্রুত সেবা প্রদান তাদের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। ব্যাংকের কর্মীদের ব্যবহার আপনাকে মুগ্ধ করবে। 

৪. পূবালী ব্যাংক

দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাংকগুলোর একটি, পূবালী ব্যাংক, গ্রাহকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ এবং অন্যান্য ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে আসছে। এর শাখাগুলি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তৃত। গন ব্যাংকিংকে সেরা বলা চলে এই ব্যাংককে। 

৫. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক তাদের দ্রুত লেনদেন ব্যবস্থা এবং গ্রাহকবান্ধব আচরণের জন্য প্রসিদ্ধ। ব্যাংকটি ক্রমাগত নতুন প্রডাক্ট ও সেবা চালু করছে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য। ব্যাংকটির স্থায়িত্ব অনেক বেশি। 

৬. যমুনা ব্যাংক

যমুনা ব্যাংকও তাদের গ্রাহকদের জন্য সহজ লোন সেবা এবং অন্যান্য ব্যাংকিং সুবিধা দিয়ে পরিচিত। এটির ব্যাংকিং পদ্ধতি ও শাখা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। শহুরে গ্রাহকদের পছন্দের ব্যাংক। 

৭. ব্যাংক এশিয়া

ব্যাংক এশিয়া দেশের বৃহৎ ব্যাংকগুলোর একটি। এটি গ্রাহকদের জন্য বিশেষভাবে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে, যা ব্যস্ত শহুরে জীবনে দ্রুত সেবা প্রদান করে। এদের এজেন্ট ব্যাংকিং এ কিছুটা বদনাম রয়েছে। 

৮. আইএফআইসি ব্যাংক

আইএফআইসি ব্যাংক একটি আধুনিক এবং সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের গ্রাহকসেবা দ্রুত এবং প্রফেশনাল হওয়ায় এটি গ্রাহকদের মধ্যে জনপ্রিয়। শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক। ৩২.৭৫% সরকারি শেয়ারে দেশের একমাত্র যৌথ মালিকানার ব্যাংক। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এই ব্যাংক। গণমানুষের ব্যাংক। 

৯. ডাচ-বাংলা ব্যাংক

ডাচ-বাংলা ব্যাংক মূলত তাদের ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, যেমন রকেট-এর জন্য পরিচিত। এটি সহজে এবং দ্রুত অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণের সুবিধা প্রদান করে। এছাড়া এটিএম ও স্যালারি একাউন্টে সেরা এই ব্যাংক। 

১০. শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক

এই ব্যাংকটি ইসলামী শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে। তাই যারা ইসলামিক ব্যাংকিং পদ্ধতির প্রতি আগ্রহী, তারা এই ব্যাংকের গ্রাহক হতে আগ্রহী। বর্তমানে দেশের একমাত্র শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক যার বদনাম নেই বললেই চলে। 

বেশ কয়েকটি ব্যাংক গত কয়েক বছর ধরে তারল্য সংকটের মুখোমুখি হলেও এই ব্যাংকগুলো বর্তমানে তারল্য সংকট মুক্ত। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকেই তারা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের কাছে পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে। এটি গ্রাহকদের জন্য স্বস্তিদায়ক এবং ব্যাংকিং সেক্টরের স্থিতিশীলতার প্রতীক।

সামগ্রিকভাবে, এই ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে সফলভাবে অবদান রাখছে। তাই আপনি নিশ্চিতে লেনদেন করুন এই দশটি ব্যাংকে। 

এছাড়া আরও অনেক ব্যাংকেই তারল্য সংকট নেই কিন্তু এখানে সময়ের সেরা দশটি ব্যাংকের নাম দেওয়া হলো।


 



Post a Comment

0 Comments