সংকটেও আস্থা: ৪৮ বছরের প্রাচীন ব্যাংকের সাফল্যের গল্প।
৫ আগস্টের গণ অভুত্থানের পর বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে একটি অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়েছে। তবে, দেশের অন্যতম প্রাচীন ব্যাংক, যার বয়স ৪৮ বছরের বেশি, তারা এই পরিস্থিতিতে অবিচল। তাদের ১৪০৬ শাখা-উপশাখা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে এবং গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা সরবরাহ করে আসছে।এই ব্যাংকটির উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলো তারা সংকটের মধ্যেও প্রভিশন ঠিক রেখে তৃতীয় প্রান্তিকে লাভ অর্জন করেছে, যা অনেককে অবাক করে দিয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকের বিপরীতে, যেখানে তারল্য সংকটের জন্য গ্রাহকদের হতাশা দেখা দিয়েছে, সেখানে এই ব্যাংকটির নতুন ম্যানেজমেন্ট সঠিক পরিকল্পনা ও প্রভাবশালী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সফলভাবে তাদের গ্রাহকদের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।
এখন, যেহেতু ব্যাংকটির ৩২.৭৫% শেয়ার সরকারি, সেখানে সরকারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ২% শেয়ার নিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যদিও এই পরিস্থিতিে কিছু লোক বিশেষ করে প্রতিযোগী ব্যাংকগুলো অপপ্রচার সৃষ্টি করেছে, তবে সত্যিকার অর্থে এই ব্যাংকটি বর্তমানের পরিচালনা পর্ষদ স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনা করছে যার প্রভাবে ব্যাংকটির স্থায়ীত্ব আরও নিশ্চিত হচ্ছে।
গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকটির এই স্থিতিশীলতা ও সেবা একটি নিরাপত্তার প্রতীক। তারা দেখিয়ে দিয়েছে যে, সংকটের সময়েও তাদের অর্থের নিরাপত্তা এবং সহজ প্রাপ্যতা বজায় রাখা সম্ভব। তাদের এই সাফল্য কেবল আর্থিক নয়, বরং গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।
এখন, যখন অনেক ব্যাংক সমস্যার মুখোমুখি, তখন এই প্রাচীন ব্যাংকটির উদাহরণ একটি বার্তা দেয়: সংকটের মধ্যে স্থিতিশীলতা এবং গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য সঠিক নীতি ও দক্ষতা অপরিহার্য। তাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, তারা সবসময় গ্রাহকদের সন্তুষ্ট রাখতে এবং তাদের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অতএব, গ্রাহকদের জন্য এই ব্যাংকটি যে শুধু একটি সেবা নয়, বরং একটি নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসের স্থান, তা নিশ্চিত করার জন্য তারা সর্বদা প্রস্তুত। তাদের সাফল্য ও স্থিতিশীলতা গ্রাহকদের মনে আরো গভীর আস্থা সৃষ্টি করবে এবং ব্যাংকটির প্রতি তাদের আস্থা বৃদ্ধির পক্ষে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
%20(6).jpeg)
0 Comments