বর্তমান প্রজন্ম কিছু থেকে কিছু হলেই ধৈর্য্যহারা হয়ে যায়।প্রচন্ড রকম মন খারাপ করে, হতাশায় ভোগে। কখনো কখনো এই হতাশা তাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। তরুন প্রজন্ম মনে করে হতাশা থেকে মুক্তির অন্যতম পথ মৃত্যু। কিন্তু মৃত্যু বা আত্মহত্যা কখনো কোন সমস্যার সমাধান নয়। জীবনে কঠিনতম মুহূর্তে নিজেকে এবং নিজের মন কে বোঝাতে হবে আমি পারবো। হ্যাঁ জীবনে অনেক খারাপ সময় আসবে যখন নিজেকে অসহ্য লাগবে। নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা সৃষ্টি হবে। কিন্তু সেই ঘৃণা টাকে নিজেকেই ভালবাসায় রূপান্তর করতে হবে।
আজকে ১০ টা সুপার সলিউশন দেব হতাশা থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে আসার।
১/ নিজেকে অসম্ভবরকম ভালবাসতে হবে - হতাশা থেকে বা খারাপ সময় অতিক্রমের প্রথম ধাপ হচ্ছে নিজেকে ভালবাসা, শুধু ভালবাসা না নিজেকে প্রচন্ড ভালবাসতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে এই ভালবাসাতে যেন স্বার্থপরতা না থাকে। যেমন সব ক্ষেত্রে নিজের টা আগে বুঝে নেওয়া, নিজের ভালোর জন্য অন্যর ক্ষতি করা। নিজেকে ভালবাসা মানে নিজেকে এবং নিজের মনটাকে সাজিয়ে, গুছিয়ে পরিপাটি রাখা। কোথায় ঘুরতে যাওয়া।
আর একটা কথা নিজেকে কখনো সস্তা মনে করবেন না। আপনিও আপনার বাবা - মায়ের প্রিয় সন্তান।
২/ পরিবার সাথে বন্ডিং - আমাদের প্রতিটা মানুষের পরিবার আছে। আমাদের বেশিরভাগ সুখ,দুঃখের উৎপত্তিস্থল পরিবার। দেনা,পাওনার শুরুটা হয় পরিবার থেকে। তাই জীবনের খারাপ সময়ে বা হতাশাগ্রস্ত সময়ে পরিবারের কাছে থাকতে হবে তাদের সাথে সব শেয়ার করতে হবে।
অনেকে বলতে পারেন অনেক সময় পরিবারের জন্য খারাপ সময় সৃষ্টি হয়, হ্যাঁ কথা সত্য। পরিবার যদি আপনার হতাশার কারন হয় হতাশা দূর করার কারনও হবে পরিবার।
৩/ আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা - মানুষ মাত্রই আবেগি, সকল মানুষ সমানভাবে আবেগি। আপনার হয়তো মনে হতে পারে কিছু মানুষের আবেগ কম কিছু মানুষের বেশি কথাটা মোটেও ঠিক নয়। সকল মানুষ আবেগি কেউ আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কেউ পারে না। যারা নিয়ন্ত্রন করতে পারে তাদের আবেগটাকে কম মনে হয়। অতিরিক্ত আবেগ আপনাকে হতাশায় ডুবাবে। ধরেন আপনার প্রিয় মানুষ আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে আপনি আবেগের বশবর্তী হয়ে নিজের জীবনটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেলেন এতে করে আপনার প্রিয় মানুষ বা এই পৃথিবীর কিছু যাবে আসবে না তাই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন।
৪/ নিজের সার্মথ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী স্বপ্নকে সাজান - নিজে যতটুকু পারবেন সেই অনুযায়ী স্বপ্ন দেখুন। নিজের সার্মথ্য ও যোগ্যতার বাইরে স্বপ্ন সাজালে সেই স্বপ্ন পূরনে ব্যর্থ হলে হতাশা আপনাকে গ্রাস করবে। হ্যাঁ স্বপ্ন দেখবেন, জীবনকে নিয়ে প্রত্যাশা রাখবেন তবে সেইটা অবশ্যই আপনার সীমার মধ্যে। কারও ভরসায় কখনো উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশা করবেন না। মনে রাখা জরুরি দিন শেষে আপনার সার্মথ্যটুকু শুধু আপনার। অন্যর ভরসা নিছকই মরিচীকা।
৫/ সবার কথায় সম গুরুত্ব দেওয়া বন্ধ করুন
৬/ অন্যের স্বপ্ন বা প্রত্যাশা আপনার মধ্যে লালন করবেন।
৭/ কোন ধরনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবেন না
৮/ মানুষকে ভালবাসতে এবং ক্ষমা করতে শিখুন।
৯/ মা- বাবাকে ভালবাসতে হবে
১০/ নিজের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন এবং বই পড়ুন।
0 Comments